মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে সেতু আছে সড়ক নেই : ভোগান্তি চরমে

সুন্দরগঞ্জে সেতু আছে সড়ক নেই : ভোগান্তি চরমে

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি : সুন্দরগঞ্জে খালের ওপর নির্মিত সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় তা কোনো কাজেই আসছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ স্কুল-কলেজের শির্ক্ষাথী, শিক্ষক, পথচারী এবং কৃষক। এ দূর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামে ঘগোয়া খালের ওপর ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয় ৬ মাস আগে। কিন্তু সেতুর দু’পাশে মাটি ভরাট না করায় জনগণের দূর্ভোগ বেড়েছে।
বাধ্য হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকাবাসি মিলে দু’পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে সেতুর সাথে সংযোগ দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। কিন্তু কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সে সাঁকোও এখন নড়বড়ে হয়েছে।
সেতুর দু’পাশেই আছে বাজার, কয়েকটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা। সবার মনে আশা সেতুটির দু’পাশে মাটি ভরাট করা হলে সবাই হাসি-খুশিতে আসা-যাওয়া করতে পারবে। রিকশা, ভ্যানসহ যানবাহন, জরুরী স্বাস্থ্যসেবায় রোগীদের গাড়ী চলাচল করতে পারবে। এতে সবার উপকার হবে। কিন্তু মনের আশা মনেই রয়েছে। সেতু হয়েছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় তা উপকারে আসছে না। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে পানিতে পড়ে বই-খাতা ভিজে যাওয়াসহ খালের পানি খেয়েছে। তাই স্কুল-কলেজ-মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে উদ্বিঘ্ন রয়েছে বলে কয়েকজন অভিভাবক জানান।
ব্রিজ পাড়ের সুজন বলেন, ব্রিজের কাজও হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। সিডিউল মোতাবেক ব্রিজের দৈর্ঘ্য প্রস্থের মাপ ঠিক আছে কিনা সন্দেহ রয়েছে।
তারাপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজনু মিয়া বলেন, সেতুর দু’পাশে গর্ত থাকায় বাঁশের সাঁকো সংযোগ দিয়ে লোকজন সেতু পার হচ্ছে। তিনি আরো জানান, সেতু নির্মাণের পর সংযোগ সড়কের জন্য ঠিকাদারকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করা হলেও কাজ হয় নাই। ফলে সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
ব্রিজের ঠিকাদার নুর মওলা মোবাইল ফোনে বলেন, কিছু দিনের মধ্যে সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হবে। তবে ব্রিজ নির্মাণে বরাদ্দ কত ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজ দেখে বলতে পারবো।
তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৫/৬ মাস আগে। ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করে চলে গেছেন। দু’পাশে মাটি ভরাটের কোন খবর নাই। এজন্য ঠিকাদারের সাথে মোবাইল ফোনে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের সাথে দেখা হলে তিনি কোন তথ্য দেননি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিয়ার রহমানকে একাধিক দিন অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনেও একাধিক দিন কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার সরকারি নাম্বানটিও মাঝে মাঝে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ^াসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখন জানতে পারলাম। প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com